অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান : বাজলো হর্ণ ছুটলো ট্রেন , চেনা ছন্দে স্টেশন

14th December 2020 9:01 am বাঁকুড়া
অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান : বাজলো হর্ণ ছুটলো ট্রেন , চেনা ছন্দে স্টেশন


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বিষ্ণুপুর স্টেশন এর ওপর দিয়ে ছুটল রেল ,  চাপল প্যাসেঞ্জার । করোণাময় পরিস্থিতিতে ৮ - ৯  মাস আগে বন্ধ হয়েছে রেল পরিষেবা বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ । তবে রাজ্যে কিছুদিন আগেই রেল পরিষেবা চালু হয়েছে বঞ্চিত হয়েছিলেন আদ্রা ডিভিশন এর রেল পরিষেবা , বঞ্চিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা তবে অবশেষে বাঁকুড়া জেলার উপর দিয়ে ছুটে গেল রেল খুশি সাধারণ মানুষ । শীতের মৌসুমে ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর ভ্রমণ করতে আসেন , তবে করোনা মানুষের স্বাভাবিক ছন্দ কেড়ে নিয়েছে কেড়ে নিয়েছিল মানুষের যানবাহনের অন্যতম পন্থা রেল পরিষেবা । তবে আজ রেল পরিষেবা চালু হওয়ায় ভ্রমণপিপাসু মানুষ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে হয়তোবা পুরনো ছন্দে ফিরবে বাঁকুড়া জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর । রেল সুত্রে জানা গেছে কিছু সংখ্যক ট্রেন যাতায়াত করবে এই রুটে। পুরুলিয়া হাওড়া স্পেশাল এক্সপ্রেস হিসেবে চলবে। এই ট্রেনে যাতায়াতের জন্য আগাম টিকিট রিজার্ভেশন করে উঠতে পারবেন যাত্রীরা। বেশ কিছু প্যাসেঞ্জার ট্রেন কে কনভার্ট করা হয়েছে মেল এক্সপ্রেসে। যার ফলে প্রায় দ্বিগুন ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে এই মেল এক্সপ্রেস ট্রেন গুলিতে। চক্রধরপুর - হাওড়া, খড়্গপুর- আসানসোল, খড়্গপুর- গোমো এই ট্রেন গুলি মেল এক্সপ্রেস হিসেবে এই লাইনে চালাচ্ছে রেল। বেশ কিছু স্টপেজ তুলে দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে। এই ট্রেনের সাওয়ার করার জন্য টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন যাত্রীরা। একটি মেমু লোকাল ট্রেন চলছে এই লাইনে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।